এটিকার্সিনোমা অভ দ্যা প্রোস্টেট নামেও পরিচিত, এক ধরণের ক্যানসার যেটি প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থিতে শুরু হয়। প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণ সাধারণত ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। তাই বহু বছর ধরে প্রোস্টেট ক্যানসারের কোন লক্ষণাদি নাও থাকতে পারে।
প্রোস্টেটের প্রধান কাজ হচ্ছে শুক্র বা বীর্য উৎপাদনে সাহায্য করা। এটি পুরুষ প্রজননতন্ত্রের একটি ছোট গ্রন্থি।
কি কি লক্ষণ থাকতে পারে
মূত্রনালীর উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য যে পর্যন্ত না ক্যানসার পর্যাপ্ত বিস্তৃত হয় সেই পর্যন্ত প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত কোন লক্ষণাদি ঘটায় না। অধিকতর পরিণত প্রোস্টেটক্যান্সার মাঝেমধ্যে লক্ষণাদি ঘটায়। যেমনঃ
১। প্রস্রাব বা মুত্রত্যাগ শুরু করার সমস্যা।
২। মুত্রত্যাগের জন্য দীর্ঘ সময় নেওয়া,
৩। প্রায়ই অধিক পরিমাণ বা ঘনঘন প্রস্রাব করার চাহিদা জাগে, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
৪। টয়লেটে তীব্র বেগে যাত্তয়া।
৫। প্রস্রাবের সাথে রক্তের উপস্থিতি।
৬। এমনকি বীর্যে রক্তের উপস্থিতি।
৭। পুরুষের লিঙ্গোত্থানে অসুবিধা।
৮। পায়ের মধ্যেদুর্বলতা বা অসাড়তা।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের কারণসমূহ কি কি
৭৫ এর অধিক বয়সী পুরুষদের মধ্যে ক্যানসারের কারণে মৃত্যুর সবচেয়ে কমন কারণ হচ্ছে এই প্রোস্টেট ক্যানসার। ৪০ বছরেরও কম বয়সী পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসার খুব কম দেখতে পাওয়া যায়।
ঠিক কি কারণে প্রোস্টেট ক্যানসার হয়ে থাকে তা জানা যায়নি, যদিও বেশ কয়েকটি কারণ এই অবস্থা বিকাশের ঝুকি বৃদ্ধি করতে পারে। এগুলো হল-
১। বয়সঃ যাদের বয়স ৫০-৬০ বছরের অধিক হয়
২। জিনেটিক বা পারিবারিক ইতিহাসঃ ৬০ এর নিচে ভাই কিংবা পিতার প্রোস্টেট ক্যানসার হয়ে থাকলে আপনারও ঝুঁকি আছে
৩। স্থূলতাঃ সাম্প্রতিক গবেষণাইঙ্গিত দেয় যে স্থূলতা ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের মধ্যে একটি যোগসুত্র বা সংযোগ থাকতে পারে
৪। জাতিগতশ্রেণী বা গোষ্ঠীঃ মূত্রথলির ক্যান্সারএশীয় বংশোদ্ভূত পুরুষদের চেয়ে আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ান এবং আফ্রিকান বংশদ্ভুত পুরুষদের মধ্যে অধিক কমন
৫। ব্যায়ামঃ যেসব পুরুষ নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়
৬। ডায়েট বা আহার (ভোজনপ্রণালী) খাদ্য এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে যার গবেষণা অগ্রসরমান
৭। যারা উচ্চ ফ্যাটযুক্ত (অ্যানিম্যাল ফ্যাট) খাবার খায়
৮। যেসব পুরুষেরা অতিমাত্রায় অ্যালকোহল গ্রহণ করে
৯। প্রমাণ রয়েছে যে উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাদ্য মূত্রথলির ক্যান্সার বিকশিত হওয়ার বর্ধিত ঝুঁকির সাথে যুক্ত
১০। সংক্রামক রোগঃ গনোরিয়ার সঙ্গে যোগ পাওয়া গেছে, কিন্তু এই সম্পর্কের জন্য কোন প্রক্রিয়া শনাক্ত করা হয়নি। প্রোস্টেটের সংক্রমণ বা প্রদাহ প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়েদিতে পারে।
এছাড়া কৃষক, টাইয়ার প্ল্যান্টের কর্মী ও পেইন্টার, প্রত্যেকেই উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন।
ইগজ্যাম ও টেস্টসমূহ
১। Digital rectal exam
২। Biopsy
৩। CT scan
৪। Bone scan
৫। MRI scan
প্রোস্টেটক্যান্সার চিকিৎসা
ক্যানসার যদি প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে তবে চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে-
১। Surgery (রেডিক্যাল প্রোস্টাটেক্টমি)
২। Proton therapy ও brachytherapy সহ Radiation therapy
Hormone therapy, surgery বা radiation পরেও যদি প্রোস্টেট ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে তবে নিম্নোক্ত ট্রিটমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারেঃ
১। Chemotherapy
২। Immunotherapy
এই লেখাটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কিন্তু চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থা নিরুপন বা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়
মোঃ ফারুক হোসাইন