কানের ভিতর বিশেষ করে ইয়ার ক্যানেল ও ছিন্ন কানের পর্দায় যখন কোন বস্তু (যেমন কটন সোয়ব, টুথপিক, পিন, পেন ইত্যাদি) প্রবিষ্ট হয় তখনি সমস্যাটি ঘটতে পারে। শিশুরা প্রায় সময় তাদের কানের ভিতরে বহিরাগত বস্তু রাখে। এই বস্তু অনেক সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ইয়ার ক্যানেল হচ্ছে কঠিন হাড় দিয়ে গঠিত একটা টিউব যা কিনা পাতলা, সুবেদী ত্বক দিয়ে আবৃত করা হয়ে থাকে। চামড়ার বিপরীতে চাপ দেওয়া যে কোন বস্তুই খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। বহু ক্ষেত্রে, একজন চিকিৎসকের কান পরীক্ষা করার জন্যে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহারের দরকার হবে।
কি কি লক্ষণ দেখা যেতে পারে
১। কান দিয়ে রক্ত পড়া।
২। লাল হয়ে যাওয়া।
৩। কানের বাইরে স্বচ্ছ লিকুইড আসা।
৪। কান ব্যথা।
৫। মাথাঝিমানি।
৬। শ্রবণহানি।
৭। কানের ভিতর কিছু আছে এমন লাগা।
৮। কান ফোলা ইত্যাদি।
প্রাথমিক চিকিৎসা
কানের জরুরী অবস্থার ধরণের উপর নির্ভর করে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করুনঃ
১। ব্যক্তিকে শান্ত করুন ও আশ্বাস দিন।
২। বস্তুটি অপসারণ করা যদি সহজ মনে হয় তবে হাত বা টুইজার দিয়ে আলতো করে এটা অপসারণ করুন।
৩। আপনার কানে বস্তু ঢুকলে তা যদি না দেখতে পান তবে তা বের করার বা টুইজার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না, কারণ এতে ভালোর চেয়ে ক্ষতি হওয়ার অধিক সম্ভাবনা রয়েছে।
৪। কোন ব্যক্তিকে কানের ভিতর আঙ্গুল ঢুকাতে দিবেন না (কোন কীট প্রবেশ করলে)।
৫। কোনভাবেই যদি বস্তুটি বের করা না যায় তাহলে মেডিক্যাল হেলপ গ্রহণ করুন।
কি করা উচিত নয়
১। কানের ভিতর থেকে আসা যে কোন পদার্থ ব্লক করবেন না।
২। ইয়ার ক্যানেলের ভিতরের অংশ পরিষ্কার বা ধৌত করার চেষ্টা করবেন না।
৩। কানের ভিতর কোন লিকুইড ঢোকাবেন না।
কখন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে
১। কান ব্যথা করলে।
২। গুম গুম শব্দ বা শব্দ ধ্বনি অনুভূত হলে।
৩। মাথাঘোরানি।
৪। শ্রবণহানি।
৫। কান থেকে রক্ত বা তরল বের হওয়া ইত্যাদি ঘটলে।
এই লেখাটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কিন্তু চিকিৎসা সংক্রান্ত অবস্থা নিরুপন বা চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
মোঃ ফারুক হোসাইন